আমাদের সম্পর্কে

ইনসাফ শপ, গত পাঁচ বছর ধরে স্বাস্থ্যকর ও খাঁটি পণ্য সরবরাহে নিবেদিত। আমাদের পণ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে  নিজস্ব অয়েল মিলে উৎপাদিত কোল্ড প্রেস দেশী সরিষার তেল, ভার্জিন গ্রেড নারিকেল তেল, গাওয়া ঘি, বিভিন্ন ফুলের মধু এবং মসলা আইটেম সহ সাতক্ষীরা উপকূলীয় সুন্দরবন অঞ্চলের নদী ও ঘেরের লোনা পানির মাছ।

ইনসাফের অয়েল মিল, ঘি এর কারখানা, ওয়ারহাউস সাতক্ষীরা ঝাউডাঙ্গা বাজার অবস্থিত। সাতক্ষীরা সদরের পুলিশ লাইনের পাশে রয়েছে আধুনিক মধু প্ল্যান্ট। রাজধানী ঢাকা শহরে ইনসাফের দুটি প্রধান আউটলেট রয়েছে, একটি উত্তরা এবং অপরটি যাত্রাবাড়ীতে। মাছের কার্যক্রম সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল মুন্সিগঞ্জ সুন্দরবন থেকে পরিচালিত হয়।
প্রতিটি পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে এবং সর্বোচ্চ যত্ন সহকারে উৎপাদিত হয়, যাতে করে প্রতিটি গ্রাহক খাঁটি এবং প্রাকৃতিক স্বাদের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে স্বাস্থ্যবান্ধব খাদ্য পণ্য সরবরাহ করে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে আরও উন্নত করা।

মাঠে চড়ানো গরুর দুধ থেকে কি আপনাদের ঘি তৈরি করা হয়?
আমাদের কারখানায় উৎপাদিত ঘি তৈরিতে মাঠে চড়ানো গরুর দুধের পাশাপাশি ফার্মিং গরুর দুধও ব্যবহার করা হয়। সাতক্ষীরায় ১০০% মাঠে চড়ানো গরুর দুধ পাওয়া খুবই দুর্লভ এবং আমরা মনে করি অন্যান্য অঞ্চলেও পরিস্থিতি একইরকম। কারণ বাণিজ্যিক ঘি উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে দুধ প্রয়োজন হয়, যা কেবল মাঠে চড়ানো গরুর দুধ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। (আল্লাহু আ'লাম) আমাদের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত ঘি এর গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবসময় সচেষ্ট থাকি।
আপনাদের কোল্ড প্রেস নারকেল তেলে ঘ্রাণ কম কেন?
গত পাঁচ বছর ধরে আমরা নিজস্ব অয়েল মিল পরিচালনা করে আসছি। এই দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি যে রোদে শুকিয়ে কোল্ড প্রেস পদ্ধতিতে/কাঠের ঘানিতে তৈরি কোকোনাট অয়েলে ঘ্রাণ প্রাকৃতিকভাবে তুলনামুলক অনেক কম থাকে। এটা এজন্য যে, এই পদ্ধতিতে তাপের পরিমাণ অনেক কম থাকে। অন্যদিকে, রোদে শুকিয়ে মেটালিক প্রেস/স্পেলার মেশিনে মিলিং করলে তেল তুলনামুলক বেশি পরিমাণ তাপ পায় যে কারণে তেলের ঘ্রাণটা কিছুটা বেশি থাকে।
খুলনা, বাগেরহাটের অনেক অটোমিলে কাচা নারিকেল কুড়ে উত্তপ্ত কড়াইতে জ্বালিয়ে/শুকিয়ে পরে স্পেলার মেশিনে মাড়ায় করে তেল প্রডাকশন করে। সেগুলোতে সাধারণত ঘ্রাণ অনেক কড়া থাকে। পাশাপাশি অনেকে তেলের ঘ্রাণ বাড়ানোর জন্য আর্টিফিশিয়াল কোকোনাট ফ্লেভার ইউজ করে থাকে যে কারণে ঘ্রাণ অনেক কড়া থাকে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আমাদের তেল সাধারণত খাওয়ার জন্য কিনতে গ্রাহকরা পছন্দ করেন, তাই আমরা মূলত কোল্ড প্রেস পদ্ধতি অবলম্বন করি। তবে, যদি আপনি অধিক ঘ্রাণযুক্ত তেল পছন্দ করেন, তাহলে আমাদের মেটালিক প্রেস পদ্ধতির তেল আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। যেটার কালার কিছুটা হলদেটে হবে কিন্তু ঘ্রাণ তুলনামুলক বেশি পাবেন। তবে মনে রাখবেন, কোল্ড প্রেস নারকেল তেল আপনি কাচা খেতে পারবেন / রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন / চুলে ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন এবং মেটালিক প্রেস নারকেল তেল খাবার জন্য নয়, বরং চুলে ব্যবহারের জন্য উত্তম।
খাঁটি মধু চেনার সহজ উপায় কি?

অনলাইনে, খবরের কাগজে, এমনকি ইউটিউবেও ভেজাল মধু চেনার নানা 'সহজ' পরীক্ষার কথা শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবতা কি?
-দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, এই 'সহজ' পরীক্ষাগুলোর বেশিরভাগই ভিত্তিহীন।

তাহলে কি খাঁটি মধু চেনার কোন উপায় নেই?
-খাঁটি মধু চেনার দুটি নির্ভরযোগ্য উপায় হলো ল্যাবরেটরি টেস্ট এবং স্বাদ গ্রহণ। এই দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি সহজেই মধুর খাঁটিত্ব নির্ধারণ করতে পারবেন।

১. ল্যাবরেটরি টেস্ট:
সাধারণ পরীক্ষা পদ্ধতিগুলি দ্বারা মধুর খাঁটিত্ব নির্ণয় সবসময় সঠিক নাও হতে পারে। আধুনিক যুগে মধুর মান নির্ণয়ের জন্য ল্যাবরেটরি পরীক্ষা অত্যন্ত কার্যকর। ল্যাবে মধুর বিভিন্ন উপাদান, যেমন সুক্রোজের মাত্রা, পানির পরিমাণ এবং অন্যান্য রাসায়নিক গুণাবলী যাচাই করা হয়, যা খাঁটি মধুর গুণগত মান নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

২. জিহ্বা দ্বারা স্বাদ গ্রহণ:
যদি আপনি পূর্বে খাঁটি মধু খেয়ে থাকেন, তবে আপনার স্বাদকলিকা মধুর খাঁটিত্ব সহজেই চিনতে সক্ষম হবে। খাঁটি মধু খাওয়ার পর তার বিশেষ স্বাদ ও গন্ধ আপনাকে অন্যান্য মিশ্রণযুক্ত মধু থেকে আলাদা করে দিতে পারে। স্বাদ গ্রহণের মাধ্যমে যেকোনো খাবারের গুণাগুণ যাচাই করা সম্ভব এবং এটি প্রায়শই সঠিক ফলাফল দেয়।

বিশ্বস্ত উৎস: পরিচিত মৌমাছি চাষি বা বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড থেকে মধু কিনুন।
সস্তা মুল্য: দাম কম মধুতে সন্দেহ করুন। কম দামে খাঁটি মধু

আপনারা কী কী সরিষা ব্যবহার করেন এবং কী পরিমাণ? 

তেঁতুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলে দুই ধরনের দেশি সরিষার ব্যবহার করা হয়। 

১। দেশি মাঘী সরিষা ৭০% +-
২। দেশি শ্বেতি সরিষা ৩০% +-

গরম দুধে আখের পাটালি দিলে দুধ কেটে যায় কেন?

গরম দুধে আখের পাটালি দিলে দুধ কেটে যাওয়ার পেছনের কারণ হল পাটালির মধ্যে থাকা টকতা। পাটালি প্রস্তুতের সময় এটি কিছু টকতা ধারণ করে যা গরম দুধের সাথে মিশে দুধের প্রোটিন, বিশেষত ক্যাসেইন প্রোটিনকে প্রতিক্রিয়া জনিত করে দুধ কেটে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক, যা অনেক খাদ্য প্রস্তুতিতে দেখা যায়। ঠান্ডা দুধে এই টকতা ততটা প্রভাব ফেলে না কারণ তাপমাত্রা কম থাকায় রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ধীর গতিতে ঘটে।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য -

▪️ দুধে পাটালির পরিমাণ কম রাখুন।
▪️ গরম দুধের পরিবর্তে দুধ ঠান্ডা হলে পাটালি মেশান।
▪️ দুধ গরম করার পর একটু ঠান্ডা হলে পাটালি মেশান, যাতে টকতার প্রভাব কমে।

আপনারা কোন কোন ডেলিভারি চ্যানেলের মাধ্যমে পণ্য প্রেরণ করেন?

আমরা বিভিন্ন ডেলিভারি চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার পণ্য পৌঁছে দিচ্ছি, যা নিম্নরূপ:

ঢাকা সিটি: আমাদের নিজস্ব ডেলিভারি চ্যানেল এবং থার্ডপার্টি সার্ভিসের মাধ্যমে।

জননী কুরিয়ার: নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি চ্যানেল।

AJR কুরিয়ার: নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি চ্যানেল।

USB কুরিয়ার: নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি চ্যানেল।

স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস: সারা দেশে হোম ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করে।

S.A পরিবহন: নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি চ্যানেল।

সুন্দরবন কুরিয়ার: নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি চ্যানেল।

আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি (COD) সেবা দিয়ে থাকি, এবং প্রতিটি কুরিয়ারের জন্য নির্ধারিত চার্জ প্রযোজ্য।

বাংলাদেশে কোন ফুলের মধু কখন উৎপাদন হয়?

নিচে বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহের সময় উল্লেখ করা হলো:

সরিষা ফুলের মধু: ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সংগ্রহ করা হয়।

ধনিয়া ফুলের মধু: ফেব্রুয়ারি মাসে সংগ্রহ করা হয়।

কালোজিরা ফুলের মধু: ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে সংগ্রহ করা হয়।

লিচু ফুলের মধু: মার্চ ও এপ্রিল মাসে সংগ্রহ করা হয়।

সুন্দরবনের মধু: এপ্রিল ও মে মাসে সংগ্রহ করা হয়।

বরই ফুলের মধু: অক্টোবর মাসে সংগ্রহ করা হয়।


এই সময়সূচি অনুযায়ী, আপনি বছরজুড়ে বিভিন্ন ফুলের মধুর স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।

ঘি কি কখনও জমে যায়?

ঘি জমে যায়। অনেকে মনে করে ঘি কখনও জমে না, এটি একটি ভুল ধারণা। আসলে, ঘি ঠাণ্ডা হলে জমে যেতে পারে, এবং এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া।

ঘি জমে যাওয়ার কারণ :

🔺 চর্বির অবস্থা পরিবর্তন: ঘি মূলত দুধের ফ্যাট থেকে তৈরি হয়। ঠাণ্ডা তাপমাত্রায়, ঘি এর ফ্যাট শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে এটি জমে যেতে পারে, যা সম্পুর্ন স্বাভাবিক ঘটনা।

🔺 তাপমাত্রা এবং ঘনত্ব: ঘির তাপমাত্রা কমে গেলে, এর ঘনত্ব বাড়ে এবং এটি সলিড হয়ে যেতে পারে। সাধারণত, ঘির ফ্যাটের প্রকারভেদ ও তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে এটি জমে যেতে পারে, যা প্রাকৃতিক।

Working Hours

 

SATURDAY8.00 AM – 10.30 PM
SUNDAY8.00 AM – 10.30 PM
MONDAY8.00 AM – 10.30 PM
TUESDAY8.00 AM – 10.30 PM
WEDNESDAY8.00 AM – 10.30 PM
THURSDAY8.00 AM – 10.30 PM
FRIDAY8.00 AM – 10.30 PM

Phones

SUPPORT01830403780
SUPPORT01332765847
SUPPORT01332765848
INSAF AGRO (FISH)01709270673
MANAGEMENT01674073194
MANAGEMENT017534784434